DiscoverBankura24x7
Bankura24x7
Claim Ownership

Bankura24x7

Author: Bankura 24x7

Subscribed: 0Played: 0
Share

Description

Bankura24X7 is a Dedicated News and Current Affairs Podcast Exclusively for Bankura District,West Bengal,India.
54 Episodes
Reverse
বাঁকুড়া জেলায় তিন পুর শহর বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর,ও সোনামুখীতে লকডাউনের দিন সংখ্যা কমল।২৬ থেকে ২৮ জুলাই জারি লকডাউন।আর ২৯ শে লকডাউন সারা জেলা জুড়ে।
বাঁকুড়ায় একদিনে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত,বড়জোড়ার দুই পুলিশ ব্যাটেলিয়ানে সমানে বাড়ছে আক্রান্তের হার।
তালডাংরায় বাজ পড়ে মৃত বাবা ও ছেলে, শোকের ছায়া গ্রাম জুড়ে।
বাঁকুড়া জেলার দশ দিকের দশ বাছাই খবরের অডিও রাউন্ডআপ শুনুন। আপডেট থাকুন জেলার খবরে।
বড়ো খবর : ২৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত তিন পুর শহর জুড়ে লকডাউনের নির্দেশ বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের।
শ্যামলের ওপরই আস্থা নেত্রীর,ফের তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে তিনি,বিষ্ণুপুর যুব তৃণমূলের নুতন সভানেত্রী আর্চিতা বিদ।
শুনুন ২১ জুলাইয়ের জেলার দশ দিকের দশ বাছাই খবরের তাজা অডিও রাউন্ডআপ।
বাঁকুড়ার হেভীর মোড়ে দশটি লরির সিরিয়াল ধাক্কা! তিন জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
শুনুন বাঁকুড়া জেলার দশ দিকের দশ বাছাই খবরের অডিও রাউন্ডআপ । জেলার সব খবরের আপডেট।
দুয়ারে বিধানসভা ভোট। তার আগে বাঁকুড়া জেলার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যপক রদবদল ঘটল। একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে মহা বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক পদে রদল বদল ঘটল। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অধ্যাপক ড: শ্যামল সাঁতরা। প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত হলেন স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক দ্রুহিন চক্রবর্তী। মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের দায়িত্ব ভার সামলাবেন গোরাচাঁদ কান্ত। এছাড়া বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষকদের শাখা সংগঠনের সভাপতি র দায়িত্ব পেলেন গৌতম গরাই। আজ নব নির্বাচিত সকলকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঁকুড়া বিদ্যাভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদে কেন রদ বদল করা হল? তার নেপথ্য কারণ প্রকাশ্যে আনেন। আর,তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর এই বিস্ফোরক আনকাট বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হল। পরে সাংবাদিকরা তার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে,তিনি কার্যত তার বক্তব্যেই যে অনড় রয়েছেন তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন। অন্যদিকে,বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তিনি একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে কাজ করবেন। এদিকে,রাজ্য তৃণমূল সুত্রে খবর,প্রথম ধাপে জেলার শিক্ষা ক্ষেত্রে গুচ্ছ রদ বদলের পর সাংগঠনিক স্তরেও বেশ কিছু রদ বদল করা হবে।মুলত বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে বাঁকুড়া জেলাতেও প্রশাসনিক ও দলের সাংগঠনিক স্তরে আরো কাজের গতি আনতেই এই ধরনের রদবদল করার পথে হাঁটছে দল।
বাঁকুড়া শহরে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তৈরি সিটি ডায়াগনস্টিক এন্ড পলিক্লিনিক।
বাঁকুড়ায় চালু হয়ে গেল ইউরোপিয়ান শৈলীতে গড়ে তোলা অভিনব ক্যাফে। তাও আবার মাটির নিচে! শহর বাঁকুড়ার স্কুলডাঙ্গার আকৃতি অ্যাপার্টমেন্টের একেবারে আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে এই ক্যাফে। লাইট ও সাউন্ডের যুগলবন্দি আর ইউরোপিয়ান আদলে অন্দর সজ্জা আপনার মন জয় করে নেবে।এই ক্যাফের এক- একটি জোন গড়ে তোলা হয়েছে ভিন্ন,ভিন্ন থিমে।বাঁকুড়ায় এই প্রথম কোন ক্যাফেতে থিমের ছোঁয়া পাবেন আপনি। সেলফি জোন,মিনি থিয়েটার,ডান্সিং ফ্লোর যেমন আছে তেমনি রয়েছে দোলনা,নিচে গদিতে বসে খাওয়া,দাওয়া করার সুবিধা।এছাড়া ক্যাপলদের জন্য থাকছে আলাদ কেবিনও। আছে ধুমপায়ীদের জন্য একেবারে পৃথক স্মোকিং জোনের সুবিধা।পুরো ক্যাফের অন্দর সজ্জার পরতে,পরতে রয়েছে ইউরোপিয়ান ছোঁয়া৷এমন এক অভিনব ক্যাফে উপহার পেয়ে বেজায় খুশী বাঁকুড়াবাসী। কলকাতার ক্যাফে বিশেষজ্ঞ সৌভিক রায়ের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে এই আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাফে। এই ক্যাফেতে ইউরোপিয়ান,চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল নানান ডিশ থাকছে। আর থাকছে মোমোর যাদু।এখানকার সিগনেচার ডিশ হল ইউনিক গ্রেভী মোমো।যা একবার খেলে বারবার আসবেন আপনিও। এছাড়া থাকছে স্পেশাল ক্রিসপি চিকেন,ফিস ফিংগার ও নানান ইউনিক স্ন্যাকসের পসরা। আর ঠান্ডা পানীয়ের ককটেল ও মকটেল। সৌভিক বাবু জানালেন, বাঁকুড়া বাসী একেবারে ভিন্ন রুচি ও ভিন্ন স্বাদের খাবারের পরিষেবা পাবেন এখানে। গ্র‍্যান্ড ওপেনিং অফার চলবে ৩ রা জুন পর্যন্ত। ক্যাপলদের জন্য সরাসরি ২০% ছাড় থাকছে আর সিংঙ্গেলদের জন্য ১৫% ছাড়। আর ৫০০ টাকার খাবার অর্ডার দিলে মকটেল মিলবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এছাড়া গ্রুপ বুকিং এ- থাকছে বিশেষ আকর্ষনীয় অফার। বিস্তারিত জানতে সরাসরি ফোন করে নিতে পারেন আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাফের হেল্পলাইনে। যার নাম্বার হল 9153008903।বাঁকুড়ার এই অভিনব ক্যাফের এম্বিয়েন্স এবং এখানকার খাবারের স্বাদ একবার পরখ করলে আপনার বারবার আসতে মন চাইবে তা বলাই বাহুল্য।আর তার জন্য আপনি মাত্র ৫০০ টাকার বিনময়ে লাইফ টাইম মেম্বারশিপ কার্ডের সুবিধা নিতে পারেন।এই কার্ডে সারা জীবন আপনি রানিং অফার ছাড়াও স্পেশাল ১০% ছাড় পাবেন সব আইটেমের ওপর। এই আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাফের মার্কেটিং পার্টনার রয়েছে বাঁকুড়ার প্রখ্যাত ডিজিটাল মার্কেটিং সংস্থা টিম টিসিবি (Team TCB)।
অংকের ভয়,ভীতি কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে ক্ষুদেরা৷ বাঁকুড়া শহরের ক্ষুদে পড়ুয়াদের ব্রেণ জিম আর বৈদিক অংক শেখানোর পাশাপাশি তাদের কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত করার কাজ করে চলেছে মাইন্ড মন্ত্র অ্যাবাকাস। গত কয়েক বছর ধরে এই সংস্থার পড়ুয়ারা জাতীয়,ও রাজ্য স্তরে নানান প্রতিযোগিতায় প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করার পাশাপাশি,এক ঝাঁক পড়ুয়া জাতীয় স্তরে ভালো র‍্যাঙ্ক করে নজীর গড়েছে। রবিবার বাঁকুড়া শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ে ন্যাশনাল ম্যাথ কম্পিটিশনে অংশ নেয় প্রায় ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ১২০০ ছাত্র- ছাত্রী। মাইন্ড মন্ত্রের ন্যাশনাল ম্যাথ চ্যাম্পিয়নশিপের পরীক্ষায় মুন্সীয়ানার সাথে উত্তর লিখে এদিন নজর কাড়ে শহরের ক্ষুদে পড়ুয়ার দল। মাইন্ড মন্ত্রের কলকাতা থেকে বিপনন আধিকারিকরা এদিন অভিভাবকদের নিয়ে সেমিনারেরও আয়োজন করেন। মাইন্ড মন্ত্রের এই অ্যাবাকাস স্কুল পড়ুয়াদের নয়া দিশা দেখাচ্ছে তা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন অভিভাবকরাও।আর পড়ুয়াদের দাবি, তাদের অংকের ওপর ভয় কেটে গেছে। অনেক কম সময়ে জটিল অংক কষায় তাদের আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। এদিনের পরীক্ষাও তারা ভালো দিয়েছে। অন্যদিকে,মাইন্ড মন্ত্রের প্রধান বিপপণ আধিকারিক শৈবাল সেন শর্মা বলেন, এদিন, সিটি রাউন্ডের পরীক্ষা হল।এরপর ডিস্ট্রিক্ট লেভেলের পরীক্ষা টপকে জাতীয় স্তরের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।তারই বাছাই পর্বের সিটি রাউন্ডের পরীক্ষা এদিন অনুষ্ঠিত হল। জাতীয় স্তরে গোল্ড,সিলভার প্রভৃতি মেডেলের পাশাপাশি ক্যাশ প্রাইজও রয়েছে। আপনিও চাইলে আপনার শিশুকে এখানে ভর্তি করতে পারেন৷ ৪-১৪ বছরের ছেলে,মেয়েরা ভর্তি হতে পারবে মাইন্ড মন্ত্রের অ্যাবাকাস সেন্টারে।সারা বাঁকুড়া জেলায় বিভিন্ন জায়গায় সংস্থার শাখা রয়েছে। ভর্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আপনাকে 9836753777 নাম্বারে যোগাযোগ করে নিতে হবে।
বিষ্ণুপুরের কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রাঙ্গণে সিসিটিভি খোলাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চরমে। এই ঘটনা সোস্যাল মিডিয়াতে রিতীমতো ভাইরাল হয়েছে৷ লাইভ পোস্টে খোদ বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খান দাবী করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং আইসির মদতে ইভিএম বদলের চেষ্টা চালানোর সময় তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি খোলা হাতে,নাতে ধরে ফেলেন। এমনকি এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। যদিও,যিনি ক্যামেরা খুলছিলেন তার দাবী,এগুলো ডিসিআরসির জন্য লাগানো হয়েছিল।ইভিএম স্ট্রং রুমে ঢুকে যাওয়ায় এই ক্যামেরা খোলা হচ্ছে। এদিকে,এই ঘটনার ভিডিও দিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বঙ্গ বিজেপির সহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আইস্যার বিরুদ্ধে স্ট্রং রুমের সিসিটিভি খুলে দেওয়া ও ইভিএম বদলের অভিযোগ তোলেন। এদিকে,বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা সৌমিত্র বাবুর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মন্ডল বলেন,হার নিশ্চিত জেনেই নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এসব ভুয়ো অভিযোগ তুলে দলের কাছে অজুহাত খাড়া করছেন সৌমিত্র খান। অন্যদিকে,এই স্ট্রং রুম বিতর্কের জেরে সৌমিত্র খান এবং সুজাতা মন্ডল দুজনেই স্ট্রং রুমে নজরদারি চালাতে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন। যদিও,জেলা নির্বাচন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এই সিসিটিভি ডিসি,আরসিতে লাগানো ছিল।এগুলোর প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাওয়ায় তা খোলার কাজ চলছিল।এর নিয়ে বিতর্কের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
কেও হতে চায় ডাক্তার, কেও বা ইঞ্জিনিয়ার,কিন্তু রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করা বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সুস্বাতী কুন্ডুর ইচ্ছে বড়ো হয়ে নিজেকে নৃত্য শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ছোটো থেকেই নাচের তালিম নিচ্ছে সে। বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি এলাকার বাসিন্দা সুস্বাতীর প্রিয় বিষয় ভুগোল।এখন ভুগোল নিয়ে পড়াশোনা করারা পাশাপাশি, নিজেকে সফল নৃত্য শিল্পী হিসেবে গড়ার জন্য লড়াই শুরু করে দিয়েছে সুস্বাতী সে এবার ৪৯২ নাম্বার পেয়ে সে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। সুস্বাতীর বাবা প্রণব কুন্ডু পেশায় স্কুল শিক্ষক।তিনি, উচ্চ মাধ্যমিক রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই মেয়েকে হোয়াটসঅ্যাপে আগাম রেজাল্ট পাঠিয়ে ছিলেন।সেই নাম্বার থেকে ৬ নাম্বার বেশী পেয়েছে সুস্বাতী।প্রণব বাবু বলেন, একটা পরীক্ষায় সে এক ঘন্টা দেরিতে পরীক্ষা হলে পোঁছয়।তথ্য বিভ্রাটের জন্যই এই সমস্যায় পড়ে সে। তা না হলে প্রথম তিনে জায়গা করে নিত সুস্বাতী।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ফের বিড়ম্বনায় ওন্দার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব!প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী ফের সক্রিয় হলেন ওন্দা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৭০ জনেরর কাছে লাখ,লাখ টাকা প্রতারণা করেন তৃণমূল নেতা আশীষ বাবু। তা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। সম্প্রতি ওন্দায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় বৃদ্ধার ছদ্মবেশে এই চাকরি প্রতারণা কাণ্ডের নালিশ করেন প্রিয়াঙ্কা দেবী।পঞ্চায়েত ভোটে এই ঘটনাকে ইস্যুও করে বিরোধীরা। ভোটের ফল বের হতেই ১২ জুলাই রামসাগরে প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামী ফিস্ট করার সময় আশীষ দে দলবল নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। মারধর করে এবং প্রিয়াঙ্কা দেবী স্বামী কে বাঁচাতে গেলে তার ওপরও হামলা চালানো ও মারধরের অভিযোগ ওঠে এই ওন্দা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দে ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এবং এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে, পুলিশ আশীষ বাবু ও তার এক অনুগামী দোলন পরামানিককে গ্রেফতার করে। তারা এখন আদলতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা দেবীর অভিযোগ, কোভিড মহামারির সময় চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৭০ জনের কাছে লাখ,লাখ টাকা আদায় করেন আশীষ দে। প্রিয়াঙ্কা দেবী প্রথম থেকেই এই প্রতারণার ঘটনায় সক্রিয় থাকায় ওন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি উত্তম কুমার বীটের হস্তক্ষেপে তাকে প্রায় অর্ধেক টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন. কিন্তু বাকীরা টাকা ফেরত পাননি। তাই ওই প্রতারিতদের সাথে নিয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী নেতৃত্ব ওন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক অফিসে ধর্ণা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই একাংশ। যা নিয়ে এখন জেলার রাজনৈতিক মহলেও চর্চা,তুঙ্গে। এদিকে,তৃণমুল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা,ভবানী মোদক এই ধর্ণা প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে কোন মন্তব্য করতে চান নি। তিনি বল ঠেলে দিয়েছেন ওন্দার ব্লক সভাপতির দিকে। যদিও,তৃণমূল ব্লক সভাপতির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত,এই চাকরির প্রতারণার ঘটনায় আশীষ দের বিরুদ্ধে মামলা আদালতের বিচারাধীন রয়েছে৷ পাশাপাশি,প্রিয়াঙ্কা দেবী ও তার ওপর হামলার মামলায় আশীষ বাবু ও তার এক সাগরেদ জেল হেফাজতে রয়েছেন।তাই আশীষ বাবুরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এদিকে,প্রতিবাদী প্রিয়াঙ্কার এই আন্দোলনে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ওন্দার তৃণমূল নেতৃত্বকে। আবার আশীষ বাবুর অনুগামীদের একাংশ আড়ালে বলছেন তাদের দাদা জেলে থাকায় দলের আশীষ বিরোধী লবি এই বিক্ষোভে ইন্ধন জাগাচ্ছেন। পাশাপাশি,দলের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে এবার কি রাজ্য নেতৃত্ব আশীষ বাবু কে দল থেকে বহিস্কারের পথে হাঁটবেন? না বিচারের রায় বের না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার পদে আসীন থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সবার কাছেই অধরা।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ফের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।আজ ওন্দার রামসাগরে বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসুচির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ে শহীদ দিবসকে ডিম ভাতের আসর বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি,তৃণমূল নেতাদের প্রতি হুঙ্কার দিয়ে বলেন বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে আসার আগে নিজেদের শরীরের বীমা করিয়ে নিন।পাশাপাশি,তার দলের কার্যকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন,কেও বাড়ি ঘেরাও করতে এলেই বিচুটি পাতা দিয়ে পালটা হামলা চালানোর। আর তাতেও কাজ না হলে একটু উত্তম,মধ্যম দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ারো নিদান দেন।আর তৃণমূল নেতাদের প্রতি তার হুঙ্কার, বাড়ি ঘেরাও করতে আসবেন দুই পায়ে ঠিকই। কিন্তু নিজের বাড়ি যেতে হবে চার পায়ে কাঁধে চেপে। তার এই হুমকি কে ঘিরে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত,ওন্দার বিজেপি বিধায়ক আমরনাথ শাখা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বহুবার এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তাকে নিয়ে চর্চাও হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবারের মন্তব্যকে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আমল দিতেই চাইছেন না। তাদের দাবি,গলার জোরে আর বেফাঁস বকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে ফাঁদ বিজেপি বিধায়কের পেতেছেন তাতে যে কেও পা দেবেন না,সেটা বোঝা উচিত অমরনাথ বাবুর। না হলে নিজের ফাঁদে নিজেই পড়বে বিজেপি।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিশ্ব মৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের হাত ধরে এবার সারা বিশ্ব জুড়ে বাঁকুড়ার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ঘোড়া ছোটানোর অঙ্গীকার করলেন জেলার এক ঝাঁক শিল্পী,ও সংস্কৃতি প্রাণ মানুষ। শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে সংস্থার প্রথম বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এই অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন সংস্থার বাঁকুড়া শাখার সদস্য ও সদস্যা থেকে কর্মকর্তারা। বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর,শুরু হয় সাংগঠনিক সম্মেলন।এবং সন্ধ্যে বেলায় ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এই সম্মেলনে বিশ্ব মৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের ভারত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি স্বাতী দাস বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন৷ এছাড়া,উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিষ কুমার সরকার প্রমুখ।এই সম্মেলনে ২৭ জনের একটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এদিন,বাঁকুড়ার শিল্পীদের নাচ,গান,আঞ্চলিক ভাষার আবৃত্তি শ্রোতাদের মনজয় করে নেয়। এই সম্মেলনে অতিথিদের হাতে বাঁকুড়া জেলার ঐতিহ্য বাহী পাঁচমুড়ারা টেরাকোটা ঘোড়া, বাঁকুড়ার গামছা,ব্যাচ ও দুর্লভ স্বেত পলাশের চারা দিয়ে বরণ করা হয়। এছাড়া সমস্ত সদস্য সদস্যাদের স্মারক সম্মান দিয়ে সম্মানিত করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার কাজে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিআরপিএফের ২৪০ নাম্বার মহিলা ব্যাটেলিয়ান। তারা বাঁকুড়া শহরের উপকন্ঠে আইলাকান্দির পিটিটিআই কলেজে শিবির করে আছেন। এই কলেজের ক্যাম্পাসের সবুজায়নে আজ হাত লাগালেন সিআরপিএফের এই প্রমীলা বাহিনী। তারা প্রায় শতাধিক গাছের চারা রোপন করেন এদিন। এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন পিটিটিআই কলেজের ছাত্র,ছাত্রীরাও। পাশাপাশি কলেজের প্রিন্সিপাল,এবং শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন এদিন। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া সদর থানার আইসি দেবাশীষ পণ্ডা। এই কর্মসুচির তদারকি করেন ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্ট মনোজ সংঘ,ডেপুটি কমান্ডেন্ট চেতন চৌধুরী ও রাজ মঙ্গল। কমান্ডেন্ট মনোজ সংঘ বলেন আমাদের কাছে সব মাটি সমান বাংলা,বিহার বা মধ্যপ্রদেশর মাটির বলে কোন ভেদাভেদ নেই।আধা সামরিক বাহিনীর হিসেবে দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন সেই মাটিই হল আসলে দেশ মাতৃকা। তাই এই দেশের মাটিতে সবুজায়নের মধ্য দিয়ে পরিবেশ সুন্দর করে তুলতে তাদের কাজের শত ব্যস্ততার মধ্যেও এই সামাজিক দায়িত্ব পালনের কর্মসুচি এদিন পালন করলেন। তার ব্যাটেলিয়ানের মহিলা বাহিনীকেও তিনি এই উদ্যোগে জন্য সাধুবাদ জানান। এর আগেও জেলায় ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছেন।কাজ করেছেন।চলে গেছেন। কিন্তু সিআরপিএফের ২৪০ মহিলা ব্যাটেলিয়ন যে ভাবে জেলার সবুজায়নের কর্মসুচি পালন করলেন তা অবশ্যই কুর্নিশ যোগ্য।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গঙ্গাজলঘাটি এলাকায়। বেশ কিছুদিন ধরেই নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে রান্নার অভিযোগ উঠছিল গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ১৭৮ নাম্বার ভুঁইফোড় উপর পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। বারে,বারে বলার।পরও হাল ফেরেনি রান্নার।ফলে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে আজ। গ্রামের বাসিন্দারা এই কেন্দ্রে চড়াও হয়ে সহায়িকা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের তাল বন্ধ করে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ৷পুলিশের সাথেও বাক বিতন্ডা চলতে থাকে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখানে রান্নার মান ও সামগ্রী এত খারাপ যে গ্রামের গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা তা মুখে তুলতেই পারছে না।এই নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে!তবুও কোন টনক নড়েনি এই কেন্দ্রের কর্মীদের।তাই বাধ্য হয়ে আজ বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে,খাবারের সামগ্রী যে নিম্নমানের তা স্বীকারও করে নেন এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। এদিন,কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর খাবারের হাল ফেরানোর আশ্বাস পেয়ে পুলিশের কথায় তালা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি,বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামের বাসিন্দারা।
loading
Comments 
loading