DiscoverQuran For Lifeline
Claim Ownership
37 Episodes
Reverse
An-Naml[1] (Arabic: النمل, romanized: ’an-naml, lit. 'The Ant[2][3]') is the 27th chapter (sūrah) of the Qur'an with 93 verses (āyāt).
Summary #
1-3 The Quran is a direction of good tidings to the faithful
4-5 Unbelievers are losers here and hereafter
6 The Quran certainly given by God to Muhammad
7-12 The story of Moses at the burning bush
13-14 Moses rejected by Pharaoh and the Egyptians as an impostor
15 David and Solomon praise God for their wisdom
16-17 Solomon’s dominion over Jinn, men, and birds
18-19 The wise ant pleases Solomon
20-44 The story of the Queen of Sheba and her conversion to Islam
45-48 Thamud rejects Sálih their prophet
49-51 Nine men plot the destruction of Sálih and his family
52-54 The Thamúdites and their plotters destroyed, but Sálih and his followers are saved
55-59 The story of Lot and the destruction of Sodom
60-68 God, the creator and preserver, more worthy of praise than false gods
69-70 The unbelievers scoff at the warnings of Muhammad
71-72 They shall certainly be destroyed as were those who rejected the prophets of old
73-77 Judgment on the wicked delayed through the mercy of God
78-80 The Qurán decides the points of controversy among the children of Israel
81 Muhammad comforted by the assurance of his integrity
82-83 Reprobate infidels blind to the error of their ways through the Beast of the Earth
84-90 Signs of judgment and doom of unbelievers
91 The righteous secure from the terror of judgment
92 The wicked shall be punished
93-94 Muhammad commanded to worship God, to be a Muslim, and to proclaim the Qurán
95 God will show his signs to true believers[4]
Sura 27 tells stories of the prophets Musa (Moses), Sulayman (Solomon), Saleh, and Lut (Lot) to emphasize the message of tawhid (monotheism) in Arabian and Israelite prophets. The miracles of Moses, described in the Book of Exodus, are mentioned in opposition to the arrogance and kufr (disbelief) of the Pharaoh.[5]
The story of Solomon is most detailed: Solomon converted Queen Bilqis of Saba' (Sheba) to the "true religion" after a hoopoe reported to him that she was a sun-worshipping queen.[6] This sura was likely revealed to address the role of the "Children of Israel" among the believers in Mecca, to emphasize and commend the piety of past prophets, and to distinguish the present Qur'anic message from past traditions.
[Wikipedia]
Muhammad (Arabic: محمد, muḥammad; "Chapter of Muhammad") is the 47th chapter (surah) of the Quran with 38 verses (ayat). Summary #
1 The works of those who oppose Islam shall come to naught
2-3 True believers shall receive the expiation of their sins
4-5 How enemies of Islam are to be treated in war
6-8 God will reward those who fight for Islam
9-12 God will utterly destroy the unbelievers
13-17 The final condition of believers and infidels contrasted
18-20 Hypocrites reproved and warned
21 Obey God and speak kindly; trust in God for better outcomes
22-33 Cowardly Muslims and hypocrites rebuked and warned
34-36 Those who would dissuade Muslims from their duty warned
37 God does not pressure a soul more than it can take
38 Muslims exhorted to liberality in contributing towards the expenses of holy war
[Wikipedia]
Al-Fajr (Arabic: الفجر, "The Dawn", "Daybreak") is the eighty-ninth chapter (sura) of the Quran, with 30 ayat or verses.[3] The sura describes destruction of disbelieving peoples: the Ancient Egyptians, the people of Iram of the Pillars, and Mada'in Saleh. It condemns those who love wealth and look with disdain upon the poor and orphans. Righteous people are promised Paradise – the final verse says "And enter you My Paradise!". The Surah is so designated after the word wal-fajr with which it opens.[4]
Summary # 1-4 Various oaths by natural objects
5-13 Unbelievers are warned by the fate of Ád, Thamúd, and Pharaoh[5]
14-17 Man praises God in prosperity, but reproaches him in adversity
18-22 Oppression of the poor and the orphan denounced
23-26 The wicked will vainly regret their evil deeds on the judgment-day
27-30 The believing soul invited to the joys of Paradise[6]
Then the surah discusses that Man praises God in prosperity, but reproaches him in adversity in ayaat 14th to 17th. The discourse then denounces the oppression of the poor in ayaat 18th to 22nd. And approaching the end ayaat 23rd to 25th give the verdict that the wicked will vainly regret their evil deeds on the judgment-day, while ayaat 26th to the 30th gives the good news to the believing soul invited to the joys of Paradise.
[Wikipedia]
Al-Hashr (Arabic: الحشر, "The Exile") is the 59th chapter (sūrah) of the Qur'an and has 24 Āyahs (verses). The chapter is named al-hashr because the word hashr, meaning 'exile' or 'banishment', appears in verse 2, describing the expulsion of Jewish Banu Nadir tribe from their settlements. The surah features 15 attributes of God in the last three verses. A similitude is given in verse 21. Verse 6 may be related to the controversies of the land of Fadak.
Summary # 1 Everything in the universe praiseth God
2-5 Passage relating to the expulsion of the Baní Nadhír
6-7 Ruling of Muhammad concerning spoils
8-10 Special ruling for the benefit of the Muhájirín
11-17 Hypocrites in Madína reproved for treachery
18-20 Muslims exhorted to fear God
21 Had the Quran descended on a mountain, it would have split asunder
22-24 God hath excellent names, and He only to be worshipped
[Wikipedia]
The title of the surah, Ar-Rahman, appears in verse 1 and means "The Most Beneficent". The divine appellation "ar-Rahman" also appears in the opening formula which precedes every surah except Sura 9 ("In the Name of God, the Lord of Mercy, the Giver of Mercy"). English translations of the surah's title include "The Most Gracious",[3] "The All Merciful",[4] "The Lord of Mercy",[5] "The Beneficent", and "The Mercy-Giving". In the fourth century CE south Arabian pagan inscriptions started to be replaced by monotheistic expressions, using the term rahmān.[6]
There is disagreement over whether Ar-Rahman ought to be categorized as a surah of the Meccan or Medinan period. Theodor Nöldeke and Carl Ernst have categorized it among the surahs of the early Meccan period (in accordance with its short ayah length), but Abdel Haleem has categorized it in his translation as Medinan,[7][8] although most Muslim scholars place Sūrat ar-Rahman in the Meccan period.[9][10] According to the traditional Egyptian chronology, Ar-Rahman was the 97th surah revealed.[11] Nöldeke places it earlier, at 43,[12] while Ernst suggests that it was the fifth surah revealed.[13]
1-4 God taught the Quran to the human.
5-16 God the creator of all things.
17-25 God controlled the seas and all that is therein
26-30 God ever liveth, though all else decay and die
31-40 God will certainly judge both men and jinn
41-45 God will consign the wicked to hell-fire
46-78 The joys of Paradise described
[Wikipedia]
- Surah Al-Fatihah - x3
- Ayat al-Kursi (Surah Al-Baqarah 255) - x3
- Surah Al-Baqarah (285 & 286) - x3
- Surah As-Sajdah
- Surah Al-Waqi'ah
- Surah Al-Mulk
- Surah Al-Ikhlas - x3
- Surah Al-Falaq - x3
- Surah An-Nas - x3
- Adhan
Remove Sihr, Magic, Jinn.
Lo Fi Quran recitation for relaxing meditation.
সুরা আল হাজ্জ্ব (আরবি: سورة الحج, "তীর্থযাত্রা, হজ্জ") । শ্রেণী:
মাদানী সূরা,
নামের অর্থ:
তীর্থযাত্রা- হজ্জ,
সূরার ক্রম:
২২,
রুকুর সংখ্যা:
১০,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
২ (আয়াত ১৮ ও ৭৭) ।
সূরা আস-সাফ (আরবি ভাষায়: الصّفّ) । শ্রেণী:
মাদানী সূরা,
নামের অর্থ:
সারবন্দী সৈন্যদল,
সূরার ক্রম:
৬১,
আয়াতের সংখ্যা:
১৪,
পারার ক্রম:
২৮,
রুকুর সংখ্যা:
২,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
এই সূরাটির চতুর্থ আয়াতের يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا বাক্যাংশের صَفًّا অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الصّفّ (‘সাফ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান:
কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল জানা যায় না। কিন্তু এর বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে অনুমান করা যায় যে, সূরাটি সম্ভবত ওহোদ যুদ্ধের সমসাময়িককালে নাযিল হয়ে থাকবে। কারণ এর মধ্যে যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। তা সেই সময়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট।
বিষয়বস্তুর বিবরণ:
এ সূরার বিষয়বস্তু হলো ঈমানের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে নিষ্ঠা ঐকান্তিকতা অবলম্বন এবং আল্লাহর পথে জীবন কুরবানী করতে উদ্ধুদ্ধ করা। এতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদেরও সম্বোধন করা হয়েছে। যারা ঈমানের মিথ্যা দাবি করে ইসলামে প্রবেশ করেছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে আবার যারা ঈমানের ব্যাপারে একনিষ্ঠ ছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু প্রথম দুটি শ্রেণীকে সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু মুনাফিকদের সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কোন কোন আয়াতে নিষ্ঠাবান মু’মিনদের প্রতি লক্ষ্য করে কথা বলা হয়েছে। কোন স্থানে কাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে তা বক্তব্যের ধরন থেকেই বুঝা যায়। শুরুতে সমস্ত ঈমানদারদের এই মর্মে সাবধান করা হয়েছে যে, যারা বলে এক কথা কিন্তু করে অন্য রকম কাজ, তারা আল্লাহ তা’আলার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। আর যারা ন্যায়ের পথে লড়াই করার জন্য মজবুত প্রাচীরের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তা’আলার নিকট তারা অত্যন্ত প্রিয়।
৫ থেকে ৭ আয়াতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের লোকদেরকে সাবধান করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে বনী ইসরাঈল জাতি মূসা (আ) এবং ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে যে আচরণ করেছে তোমাদের রসূল এবং তোমাদের দ্বীনের সাথে তোমাদের আচরণ সেই রকম হওয়া উচিত নয়। হযরত মুসা(আ) আল্লাহর রসূল একথা জানা সত্ত্বেও তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তারা তাঁকে কষ্ট-যন্ত্রণা দিয়েছে এবং হযরত ঈসার (আ) কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনাবলী দেখতে পাওয়ার পরও তাকে অস্বীকার করা থেকে বিরত হয়নি। এর ফল দাঁড়িয়েছে এই যে, ঐ জাতির লোকদের মেজাজের ধরন-প্রকৃতিই বাঁকা হয়ে গিয়েছে এবং হিদায়াত লাভের তাওফিক বা শুভবুদ্ধি থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। এটা এমন কোন বাঞ্ছনীয় বা ঈর্ষনীয় অবস্থা নয় যে, অন্য কোন জাতি তা লাভের জন্য উদগ্রীব হবে।
এরপর ৮ ও ৯ আয়াতে চ্যালেঞ্জ করে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ইহুদী ও খৃস্টান এবং তাদের সাথে ষড়যন্ত্রকারী মুনাফিকরা আল্লাহর এই নূরকে নিভিয়ে দেয়ার যতই চেষ্টা-সাধনা করুক না কেন তা পুরা শানশওকতের সাথে গোটা পৃথিবীতে অবশ্যই বিস্তার লাভ করবে। মুশরিকরা যতই অপছন্দ করুক না কেন আল্লাহর মহান রসূলের আনীত দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা অন্য সব জীবনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হবে।
অতপর ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত আয়াতে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, দুনিয়া এবং আখেরাতে সফলতা লাভের পথ মাত্র একটি। তা হলো খাঁটি ও সরল মনে আল্লাহ তার রসূলের ওপর ঈমান আনো এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করো। এর ফল হিসেবে আখেরাতে পাবে আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি, গোনাহসমূহের মাগফিরাত এবং চিরদিনের জন্য জান্নাত। আর দুনিয়াতে পুরস্কার হিসেবে পাবে আল্লাহর সাহায্য সহযোগিতা এবং বিজয় ও সফলতা।
সূরার শেষে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে তাঁর হাওয়ারী বা সাহায্যকারীরা আল্লাহর পথে যেভাবে সহযোগিতা করেছে তারাও যেন অনুরূপভাবে ‘আনসারুল্লাহ’ বা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে দাঁড়ায় যাতে ইতিপূর্বে ঈমান আনয়নকারি গণ যেভাবে আল্লাহর সাহায্য-সহযোগিতা লাভ করেছিলেন তারাও কাফেরদের বিরুদ্ধে তেমনি সাহায্য সহযোগিতা লাভ করতে পারে ।
সূরা ত্বোয়া-হা , (আরবি: سورة طه, (ত্বোয়া-হা) । শ্রেণী:
মাক্কী,
নামের অর্থ:
(ত্বোয়া-হা),
সূরার ক্রম:
২০,
আয়াতের সংখ্যা:
১৩৫ । নামকরণ: তোহা
এই সুরাটি পবিত্র কোরআনের একটি প্রসিদ্ধ সুরা। এটি মাক্কী সুরা। যার আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি। এই সুরাটিতে কতিপয় বিষয়ের উপর আলোচনা করেছেন মহান আল্লাহ। প্রথম অংশে ব্যপকভাবে আলোচিত হয়েছে মুসা (আঃ) বনী ইসরাইল এবং ফেরাউনের ঘটনাপ্রবাহ। এবং পরবর্তী অংশে আল্লাহ আদম (আঃ) কে সৃষ্টি ও ফেরেশতাদের দ্বারা সিজ্বদাহ প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়াদি বর্ণিত হয়েছে।
আল কাহফ (আরবি ভাষায়: الكهف) । এই সূরায় কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের কথা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা এবং হযরত খিযির এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে। শ্রেণী:
মক্কী সূরা,
নামের অর্থ:
গুহা,
সূরার ক্রম:
১৮,
আয়াতের সংখ্যা:
১১০,
পারার ক্রম:
১৫ (১-৭৪ আয়াত)
১৬ (৭৫-১১০ আয়াত),
রুকুর সংখ্যা:
১২ । বৈশিষ্ট্য:
মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদে হযরত আবুদ্দারদা থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। মুসনাদে আহমদে হযরত সাহ্ল ইবনে মু'আযের রেওয়ায়েতে আছে যে, রসূলুল্লাহ্ বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহ্ফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে, তার জন্যে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সূরা পাঠ করে, তার জন্যে যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।
রূহুল-মা'আনীতে হযরত আনাস -এর বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ বলেনঃ সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময় নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন। এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।
শানে নুযূল:
ইমাম ইবনে জরীর তাবারী হযরত ইবনে-আব্বাসের রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেনঃ যখন মক্কায় রসূলুল্লাহ্ -এর নবুওয়তের চর্চা শুরু হয় এবং কোরাইশরা তাতে বিব্রত বোধ করতে থাকে, তখন তারা নযর ইবনে হারেস ও ওকবা ইবনে আবী মুয়ী'তকে মদীনার ইহুদী পন্ডিতদের কাছে প্রেরণ করে। রসূলুল্লাহ্ সম্পর্কে তারা কি বলে, জানার জন্যে। ইহুদী পন্ডিতরা তাদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তাকে তিনটি প্রশ্ন করো। তিনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে বুঝে নেবে যে, তিনি আল্লাহ্র রসূল। অন্যথায় বোঝবে, তিনি একজন বাগাড়ম্বরকারী রসূল নন।
(১) তাঁকে ঐসব যুবকের অবস্থা জিজ্ঞাস কর, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের ঘটনা কি? কেননা, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঘটনা।
(২) তাঁকে সে ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস কর, যে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফর করেছিল। তার ঘটনা কি?
(৩) তাঁকে রূহু সম্পর্কে প্রশ্ন কর যে, এটা কি?
উভয় কোরাইশী মক্কায় ফিরে এসে ভ্রাতৃসমাজকে বললঃ আমরা একটি চূড়ান্ত ফয়সালার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফিরে এসেছি। অতঃপর তারা তাদেরকে ইহুদী আলেমদের কাহিনী শুনিয়ে দিল। কোরাইশরা রসূলুল্লাহ্ -এর কাছে এ প্রশ্নগুলো নিয়ে হাযির হল। তিনি শুনে বললেনঃ আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ্ বলতে ভুলে গেলেন। কোরাইশরা ফিরে গেল। রসূলুল্লাহ্ ওহীর আলোকে জওয়াব দেবার জন্যে আল্লাহ্র তরফ থেকে ওহী আসার অপেহ্মায় রইলেন। কিন্তু ওয়াদা অনুয়াযী পর দিবস পর্যন্ত ওহী আগমন করল না; বরং পনের দিন এ অবস্থায় কেটে গেল। ইতিমধ্যে জিবরাঈলও এলেন না এবং কোন ওহীও নাযিল হল না। অবস্থাদৃষ্টে কোরাইশরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ আরম্ভ করে দিল। এতে রসূলুল্লাহ্ খুবই দুঃখিত ও চিন্তিত হলেন।
পনের দিন পর জিবরাঈল সূরা কাহফ নিয়ে অবতর করলেন। এতে ওহীর বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করা হলে ইনশাআল্লাহ্ বলা উচিত।
আল মু'মিনূন , (আরবি: سورة المؤمنون), (মুমিনগণ) | শ্রেণী:
মাক্কী,
নামের অর্থ:
(মুমিনগণ),
সূরার ক্রম:
২৩,
আয়াতের সংখ্যা:
১১৮ । নামকরণ
প্রথম আয়াত قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে । বিষয়বস্তু:
এই সূরার মূল বক্তব্য হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার 'বীজতলা ' বা মূলভিত্তি। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রূপ পরিবেশের যখন সত্যকে অস্বীকার করা হয় এবং সত্যের অনুসারীদের অত্যাচার ও অপমানে জর্জরিত করা হয়। সত্য এক, অদ্বিতীয় এবং সন্দেহাতীত এবং শেষ পর্যন্ত সত্য চিরস্থায়ী। যারা পাপের রাস্তায় থাকে তাদের শেষ মুহুর্তের অনুতাপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
সূরা আল আম্বিয়া (আরবি: سورة الأنبياء "নবীগণ") । শ্রেণী:
মাক্কী,
নামের অর্থ:
(নবীগণ),
সূরার ক্রম:
২১,
আয়াতের সংখ্যা:
১১২,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
কোন বিশেষ আয়াত থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়নি। এই সূরায় যেহেতু অনেক নবীর কথা বর্ণনা করা হয়েছে তাই এর নাম রাখা হয়েছে “আল আম্বিয়া”। বিষয়বস্তু
মুহাম্মাদ ও কুরাইশদের সাথে মধ্যে যে বিবাদ ছিল তা এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। কুরাইশরা নবী করীম এর রেসালতের দাবী, আখেরাতে বিশ্বাস ও তওহীদের বিরুদ্ধে মনে যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ করত তার বিরুদ্ধে জবাব দেয়া হয়েছে।এই সূরায়, তারা মুহাম্মদ কে যে ভয়প্রদর্শন করত তার বিরুদ্ধে ভয় এবং চরম শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, যাকে তোমরা শত্রু মনে করছো তিনি তোমাদের জন্য রহমতস্বরূপ।
সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্ (আরবি ভাষায়: الواقعة) । শ্রেণী:
মাক্কী সূরা,
নামের অর্থ:
নিশ্চিত ঘটনা,
সূরার ক্রম:
৫৬,
আয়াতের সংখ্যা:
৯৬,
পারার ক্রম:
২৭,
রুকুর সংখ্যা:
৩,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الواقعة বাক্যাংশে থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে واقعة (‘ওয়াক্বিয়াহ্’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা। ওয়াকিয়াহ শব্দটির অর্থ "ঘটনা" বা বলা যেতে পারে "কিয়ামত দিবসের ঘটনা"
সূরা আল-হাদীদ (আরবি ভাষায়: الحديد) । শ্রেণী:
মাদানী সূরা,
নামের অর্থ:
লোহা,
সূরার ক্রম:
৫৭,
আয়াতের সংখ্যা:
২৯,
পারার ক্রম:
২৭,
রুকুর সংখ্যা:
৪,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
এই সূরাটির ২৫ নং আয়াতের وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ বাক্যাংশের الْحَدِيدَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে حديد (‘হাদীদ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা। নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান:
সর্ব সম্মত মতে এটি মদীনায় অবতীর্ণ সূরা। এ সূরার বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে মনে হয় সম্ভবত উহুদ যুদ্ধ ও হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যবর্তী কোন এক সময় এ সূরা নাযিল হয়েছে। এটা সে সময়ের কথা যখন কাফেররা চারদিক থেকে ক্ষুদ্র এ ইসলামী রাষ্ট্রটিকে তাদের আক্রমণের লক্ষস্থল বানিয়েছিল এবং ঈমানদারদের ক্ষুদ্র একটি দল অত্যন্ত সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সমগ্র আরবের শক্তির মোকাবিলা করে যাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ইসলাম তার অনুসারীদের কাছে শুধু জীবনের কুরবানীই চাচ্ছিলো না বরং সম্পদের কুরবানীর প্রয়োজনীয়তাও একান্তভাবে উপলব্ধি করেছিলো। এ ধরনের কুরবানী পেশ করার জন্য এ সূরায় অত্যন্ত জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে। সূরার ১০ আয়াত এ অনুমানকে আরো জোরালো করছে।
বিষয়বস্তুর বিবরণ:
এ সূরার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করার উপদেশ দান। যখন আরব জাহেলিয়াতের সাথে ইসলামের সিদ্ধান্তের সংগ্রাম চলছিলো, ইসলামের ইতিহাসের সে সংকটকালে মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে আর্থিক কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা এবং ঈমান যে শুধু মৌখিক স্বীকৃতি ও বাহ্যিক কিছু কাজকর্মের নাম নয় বরং আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য একনিষ্ঠ হওয়াই তার মূল চেতনা ও প্রেরণা, একথা তাদের মনে বদ্ধমূল করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ সূরা নাযিল করা হয়েছিল। যে ব্যক্তির মধ্যে এ চেতনা ও প্রেরণা অনুপস্থিত এবং আল্লাহ ও তার দীনের মোকাবিলায় নিজের প্রাণ, সম্পদ ও স্বার্থকে অধিকতর ভালবাসে তার ঈমানের দাবী অন্তসর শুন্য। আল্লাহর কাছে এ ধরনের ঈমানের কোন মূল্য ও মর্যাদা নেই। কেবল সেই সব ঈমানদারই আল্লাহর নিকট ‘সিদ্দিক’ ও শহীদ বলে গণ্য যারা কোন রকম প্রদর্শনীর মনোভাব ছাড়াই একান্ত আন্তরিকতা ও সততার সাথে নিজেদের অর্থ-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে।
সূরা আত-তালাক (আরবি ভাষায়: الطّلاق) । শ্রেণী:
মাদানী সূরা,
নামের অর্থ:
তালাক,
সূরার ক্রম:
৬৫,
আয়াতের সংখ্যা:
১২,
পারার ক্রম:
২৮,
রুকুর সংখ্যা:
২,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
এই সূরাটির বিষয় বস্তু হচ্ছে 'তালাক' এবং তালাকের হুকুম-আহকাম প্রভৃতি নিয়ে এই সূরাটিতে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বিধায় এই সূরার নাম হিসাবে এটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الطّلاق (‘তালাক’) সম্পর্কিত বর্ণনা আছে এটি সেই সূরা।
সূরা আল মুজাম্মিল (আরবি ভাষায়: المزّمّل)। শ্রেণী:
মাক্কী সূরা,
নামের অর্থ:
বস্ত্রাচ্ছাদনকারী,
সূরার ক্রম:
৭৩,
আয়াতের সংখ্যা:
২০,
পারার ক্রম:
২৯,
রুকুর সংখ্যা:
২,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । নামকরণ:
এই সূরাটির প্রথম আয়াতের الْمُزَّمِّلُ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে المزّمّل (‘মুজাম্মিল’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা ।
সূরা আত-তাওবাহ্, (আরবি: سورة التوبة, "অনুশোচনা"), যা সূরা বার'আহ বা বার'আত (প্রত্যাখ্যান) নামেও পরিচিত । আরবি তওবা অর্থ ক্ষমা (Ultimatum) - একে সূরা তওবা বলা হয়, কারণ এতে মুসলমানদের তওবা কবুল হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। সূরাটির অন্য নাম হলো বারা'আত - একে বারা'আত বলা হয় কারণ, এতে কাফেরদের তথা অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের ব্যাপারে দায়িত্ব-মুক্তির উল্লেখ আছে। শ্রেণী:
মাদানী,
নামের অর্থ:
অনুশোচনা
অন্য নাম
আল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি),
সূরার ক্রম:
৯,
আয়াতের সংখ্যা:
১২৯,
পারার ক্রম:
১০ থেকে ১১,
মঞ্জিল নং:
১৯ থেকে ২১,
রুকুর সংখ্যা:
১৬,
সিজদাহ্র সংখ্যা:
নেই । বিসমিল্লাহ-হীনতা:
এই সূরার বৈশিষ্ট্য হলো এর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা হয় না। কারণ কোরআন শরীফের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অবতীর্ণ হয়েছিল। কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাও ভেঙে ভেঙে অবতীর্ণ হতো। জিব্রাইল (আ:) তা কোথায় বসাতে হবে, তা বলে দিতেন। যখন বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হতো তখন বোঝা যেত, আগের সূরার অবতরণ শেষ হয়েছে। কিন্তু সূরা তওবা অবতরণে কোনো বিসমিল্লাহ অবতীর্ণ হয়নি এবং রাসুল(সা:)ও তা লিখে যেতে নির্দেশ দেননি। এই অবস্থায় রাসুল(সা:) মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তিতে খলীফা ওসমান গনী [রাঃ] বিসমিল্লাহ দেখতে না পেয়ে একে অন্য সূরার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। অনেকে একে সূরা আনফালের অংশ মনে করেন। তাই আয়াত-সংখ্যার দিক দিয়ে বেশি হওয়াসত্ত্বেয় সাবধানতার খাতিরে কোরআন সংকলনের সময় একে সূরা আনফালের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।
যেহেতু অবতরণের সময়ই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ ছিল না, তাই বিজ্ঞ 'আলেমদের বক্তব্য হলো, কেউ যদি সূরা আনফালের পরে সূরা তওবা পড়ে, তাহলে সে বিসমিল্লাহ পড়বে না; তবে কেউ যদি পরম্পরাহীনভাবে সূরা তওবাই প্রথমে পড়ে, তাহলে বিসমিল্লাহ জুড়ে নিবে। অনেকে বিসমিল্লাহ'র বদলে 'আঊযুবিল্লা-হি মিন না-র পড়ে থাকেন, যার কোনো ভিত্তি কোনো বিশুদ্ধ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়।
অবিশ্বাসীদের সাথে সম্পর্কের আলোচনা:
সূরা তওবার সর্বত্র কিছু যুদ্ধ (মক্কা বিজয়, হোনাইন যুদ্ধ, তাবুক যুদ্ধ), যুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনাবলী এবং এসংক্রান্ত হুকুম, মাসায়েল ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। এসকল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরবের সকল গোত্রের সাথে সকল চুক্তি বাতিলের নির্দেশ আসে। আমিন
আস ছাফ্ফাত , (আরবি: سورة الصافات, ((সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো) । শ্রেণী:
মাক্কী,
সূরার ক্রম:
৩৭,
আয়াতের সংখ্যা:
১৮২ । নামকরণ
প্রথম আয়াতের وَالصَّافَّاتِ শব্দ থেকে এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
Comments
Top Podcasts
The Best New Comedy Podcast Right Now – June 2024The Best News Podcast Right Now – June 2024The Best New Business Podcast Right Now – June 2024The Best New Sports Podcast Right Now – June 2024The Best New True Crime Podcast Right Now – June 2024The Best New Joe Rogan Experience Podcast Right Now – June 20The Best New Dan Bongino Show Podcast Right Now – June 20The Best New Mark Levin Podcast – June 2024
United States